Polity NotesGeneral Knowledge Notes in Bengali

দলত্যাগ বিরোধী আইন – Anti-Defection Law

Anti-Defection Law

দলত্যাগ বিরোধী আইন – Anti-Defection Law

ভারতীয় সংবিধানের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টপিক হলো দলত্যাগ বিরোধী আইন (Anti-Defection Law )। ১৯৮৫ সালে ৫২তম সংবিধান সংশোধনীর মাধমে রাজনৈতিক দলত্যাগ বন্ধ করার উদ্দেশ্যে এই দলত্যাগ বিরোধী আইনটি ভারতীয় সংবিধানে যুক্ত করা হয়েছিল।

দেখে নাওভারতের সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ সংবিধান সংশোধনী তালিকা –  PDF

দলত্যাগ বিরোধী আইনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো সাংসদদের ব্যক্তিগত স্বার্থলাভের উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক দল বদল।

সংক্ষেপে দেখে নেওয়া যাক দলত্যাগ বিরোধী আইনের নিয়মগুলি ।

সংসদের কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য সাংসদ হিসাবে তার যোগ্যতা হারাতে পারেন –

  • যদি তিনি উক্ত দলের সসদ্যপদ স্বেচ্ছায় ত্যাগ করেন,
  • যদি তিনি ভোটদানের ক্ষেত্রে বা ভোটদানে বিরত থেকে দলের ‘হুইপ’ অমান্য করেন।

যদি কোনো নির্দল প্রার্থী নির্বাচনের পর কোনো রাজনৈতিক দলে যোগদান করেন, তাহলে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন ।

মনোনীত প্রার্থী হিসাবে যোগদান করার ছয় মাস পর যদি তিনি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগদান করেন, তাহলে যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে ধরে নেওয়া হবে।

ভারতীয় সংবিধানের দশম তফসিল (10th Schedule ) দলত্যাগ বিরোধী আইন সম্পর্কিত।

দেখে নাওসংবিধানের তফসিল

এই আইন প্রযোজ্য হবে না –

  • যদি কোনো দলের অন্তত ২ থেকে ৩ জন সদস্য অন্য দলে সংযুক্ত হন।
  • যদি কেউ কোনো কক্ষের সভাপতি হবার পর তাঁর দলের সদস্যপদ ত্যাগ করেন এবং সভাপতি পদের কার্যকালের শেষ হবার পর দলে আবার যোগদান করেন।
দলত্যাগ বিরোধী আইনে কোনো সদস্য তার সদস্যপদ হারাবে কিনে সেটির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা থাকে সেই সভার সভাপতির।

বর্তমানে সুপ্রিমকোর্ট একটি যুগান্তকারী নিয়ম করে বলেছেন যে, একজন সাংসদ বা বিধায়ক অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন যদি তিনি দুটি ব্যাপারে ‘হুইপ’ অমান্য করেন – আস্থা ভোট ও অনাস্থা ভোট এবং যখন বিষয়টি উক্ত রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ও নীতির সাথে যুক্ত।

To check our latest Posts - Click Here

Telegram

Related Articles

Back to top button