General Knowledge Notes in Bengali

International Chess Day 2023 – আন্তর্জাতিক দাবা দিবস ২০২৩

আন্তর্জাতিক দাবা দিবস

International Chess Day 2023 : আজ ২০শে জুলাই, আন্তর্জাতিক দাবা দিবস। সারা বিশ্ব জুড়ে এই খেলার সম্মানে আজকের দিনে পালন করা হয় এই দিবস। আমরা কম বেশি সবাই এই খেলার সাথে পরিচিত। উল্লেখ্য যে এই দাবার আবিষ্কার কিন্তু ভারতেই হয়, তবে তখন এই খেলার নাম ছিল চতুরঙ্গ । আজকে দাবা দিবসে দেখে নেওয়া যাক এই খেলা সম্পর্কিত কিছু তথ্য।

 ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল চেস ফেডারেশন’ (FIDE) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬৬ সালের ২০শে জুলাই প্যারিসে। এই প্রতিষ্ঠা দিবসকে সম্মান যাতে এই সংস্থা ১৯৬৬ সাল থেকে এই দিবস পালন করে আসছে। এবং এই রীতি অনুসারে সারা বিশ্ব জুড়ে দাবা অনুগামীরা এই দিনটিতে দাবা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

পরবর্তীকালে রাষ্ট্র সংঘ ২০১৯ সালের ১২ই ডিসেম্বর ২০শে জুলাই কে আন্তর্জাতিক দাবা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় গোটা বিশ্বে এই খেলাকে আরও জনপ্রিয় করতে।

এই খেলার জন্ম কিন্তু ভারতে। প্রাচীনকালে এই খেলা ভারতের ‘চতুরঙ্গ’ নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীকালে এই খেলা ভারত থেকে পারস্য, আরব, ইউরোপ ও ক্রমশঃ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরে।

এককালে এই খেলা কিছু রাজাদের খেলা নামে পরিচিত ছিল। একের পর এক কৌশলী দান দিয়ে অপরপক্ষকে পরাজিত করা হয়ে উঠেছিল সম্মানের খেলা। পরবর্তীকালে উচ্চ শ্রেণীর লোকেদের থেকে এই খেলা সবার মধ্যে ছড়িয়ে পরে ও জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

এই খেলায় মোট ৬৪টি ঘর থাকে। দুই জনের মধ্যে এই খেলা হয়। একজন সাদা আর একজন কালো পক্ষ। প্রতি দলে ১৬টি করে ঘুঁটি থাকে। প্রতি দলের ঘুঁটিদের মধ্যে থাকে একটি রাজা, একটি রানী / মন্ত্রী , দুটি নৌকা, দুটি হাতি, দুটি ঘোড়া, এবং আটটি প্রজা/বোরে। খেলার মূল উদ্দেশ্য হল রাজাকে বাঁচানো।

এই দাবা খেলার নিয়ম কিন্তু অনেক। পরে যদিও FIDE এর কতগুলি নির্দিষ্ট নিয়ম বানিয়ে দেয়। ১৮৫১ সালে লন্ডনে প্রথম আধুনিক দাবা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন জার্মানির এডলফ আন্ডারসন।

ভারতে দাবার গ্রান্ড মাস্টারের সংখ্যা কম নয়। বর্তমানে ৮০ জনের বেশি দাবা গ্রান্ড মাস্টার রয়েছে। তবে ভারত আর দাবা – এই দুটি কথা মাথায় আসলে সবার আগে যে নামটি আগে আসে সেটি হল বিশ্বনাথন আনন্দ। ভারতের প্রথম গ্রান্ড মাস্টার। অর্জুন পুরস্কার , পদ্মশ্রী , পদ্মবিভূষণ, রাজীব গান্ধী খেল রত্ন পুরস্কার প্রভৃতি আনন্দের পকেটে। দাবার রেটিংয়ের হিসেবে বিশ্বনাথন আনন্দের ঠিক পরেই রয়েছে ডি গুকেশ। ২০০৬ সালে জন্ম , বর্তমানে বয়স মাত্র ১৭ বছর , কিন্তু ইতিমধ্যে সারা বিশ্বজুড়ে সারা ফেলে দিয়েছেন তিনি।

এরকম আরও কিছু পোস্ট :

জাতীয় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দিবস – জানেন কি কোন দেশে এই খাবারের উৎপত্তি ?

World Malala Day – 12 July | বিশ্ব মালালা দিবস: 12 জুলাই

To check our latest Posts - Click Here

Telegram

Related Articles

Back to top button