জাতীয় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দিবস : আজ ১৩ই জুলাই। জাতীয় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দিবস। নামের মধ্যে দূরদূরান্তে আলু বা পটেটো -এর উল্লেখ না থাকলেও আসলে কিন্তু এটি এক ধরণের আলুভাজা। আজকাল ফাস্ট ফুডের সুবাদে আমরা সবাই এই খাবারের সাথে অল্প বিস্তর পরিচিত। আজকের এই পোস্টে দেখে নেওয়া যাক এই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য ।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই কথাটি শুনলেই সবার প্রথমে আমাদের যেটি মনে হয় সেটি হল নিশ্চয় ফ্রান্সে এই খাবারটির উৎপত্তি। কিন্তু জানলে অবাক হবেন যে এই খাবারের উৎপত্তি কিন্তু বেলজিয়ামে। আবার অনেকের মতে এই খাবার এসেছে কলম্বিয়া হয়ে স্পেন থেকে।
দেখে নাও : ভারতের বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও তার গুরুত্ব – PDF
এই খাবারের উৎপত্তি ইউরোপে হলেও এটির জন্য কিন্তু আলু নিয়ে আসা হাত মার্কিন মুলুক থেকে। এর জন্য এর মধ্যে একটি অন্যমাত্রার ফ্লেভার পাওয়া যেত। বর্তমানে যদিও এর জন্য লোকাল আলুই ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
নামটির সাথে আলুর কোনো সম্পর্ক না থাকলেও জানা যায় শুরুতে এই পদটির নাম ছিল ফ্রেঞ্চ ফ্রায়েড পটেটো। কিন্তু ধীরে ধীরে এই পটেটো শব্দটি লোকমুখে বিলুপ্তি প্রায় এবং ১৯৩০ সালের দিকে লোকে এই পদটিকে শধুমাত্র ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বলে ডাকতে শুরু করে।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর নাম শুনলেই যেটির নাম সবার আগে মনে আসে সেটি হল ম্যাক ডোনাল্ডস। আমার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর পরিচিতি কিন্তু এই ম্যাক ডোনাল্ডস থেকেই। জানলে অবাক হবেন এই ম্যাক ডোনাল্ডস হল সারা পৃথিবীতে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর সর্ববৃহৎ প্রস্তুতকারক। গোটা বিশ্ব জুড়ে বিক্রিত ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর প্রায় এক তৃতীয়াংশ বিক্রি করে এই ম্যাক ডোনাল্ডস।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই সবথেকে বেশি জনপ্রিয় মার্কিন মুলুকে। এই খাবার সেখানে এতই জনপ্রিয় যে এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী একজন মার্কিন নাগরিক গড়ে বছরে ২০-৩০ পাউন্ড ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেয়ে থাকেন।
দেখতে নিরীহ গোবেচারা হলেও কিন্তু এই খাবারের ক্যালোরি মাত্রা বড্ডো বেশি। তাই যদি আপনি ডায়েট কন্ট্রোল করতে থাকেন তাহলে এই খাবার থেকে যতদূর সম্ভব দূরে থাকুন। সাধারণত এক প্যাকেট ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তে যে পরিমান ক্যালোরি থাকে সেটি ব্যয় করতে একজন ব্যক্তিকে প্রায় ৫০মিনিট দৌড়োতে হবে।
To check our latest Posts - Click Here