রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা – বিষয়বস্তু – বিবর্তন – একাদশ শ্রেণী প্রশ্ন ও উত্তর
একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম অধ্যায়
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা – বিষয়বস্তু – বিবর্তন – একাদশ শ্রেণী প্রশ্ন ও উত্তর
প্রিয় পাঠকেরা, আজকে আমরা আলোচনা করবো রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা, বিষয়বস্তু, বিবর্তন সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন উত্তর নিয়ে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর class 11 প্রথম অধ্যায় থেকে এই প্রশ্ন উত্তর গুলি তোমাদের একাদশ শ্রেণীর প্রস্তুতিতে সাহায্য করবে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান সংজ্ঞা / রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে ?
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সর্বসম্মত কোনো সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়নি। কারণ সকল রাষ্ট্রবিজ্ঞানীই তাঁর সমসাময়িককালের ওপর নির্ভর করে তাঁদের তত্ত্ব গঠন করেছেন এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা নির্মাণ করেছেন। গ্রিক সভ্যতার সময় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ধারণায় রাষ্ট্রকেন্দ্রিক বিষয়টিই পরিস্ফুটিত হয়েছে, এই সময়ে রাষ্ট্রকেন্দ্রিক সংজ্ঞার আলোচনা ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রের বর্ধিত পরিধি, কাজের পরিবর্তশীলতা, মানুষ ও গোষ্ঠীর আচরণ, রাজনৈতিক দল সবকিছুর ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে আর পুরাতন কোনো কিছুকেই ধরে রাখতে হয় না। এই কারণে রাষ্ট্রবিজ্ঞান আলোচনারও পরিবর্তন ঘটে যায়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের যেসব সংজ্ঞা পাওয়া যায় সেগুলিকে দুভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যায়। যথা—
(ক) রাষ্ট্রকেন্দ্রিক সংজ্ঞা এবং (খ) অ-রাষ্ট্রকেন্দ্রিক সংজ্ঞা।
রাষ্ট্রকেন্দ্রিক সংজ্ঞা : সনাতন ধারা অনুসারে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয় শুধুমাত্র “রাষ্ট্র”। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী গার্নার বলেছেন, “রাষ্ট্রবিজ্ঞান আলোচনার শুরু ও শেষ রাষ্ট্রকে নিয়ে।” আবার গেটেল বলেছেন, “রাষ্ট্রবিজ্ঞান কী ছিল তার ঐতিহাসিক অনুসন্ধান, রাষ্ট্র কী হয়েছে তার বিশ্লেষণমূলক বর্ণনা এবং রাষ্ট্রের কী হওয়া উচিত তার দর্শনমূলক আলোচনা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু।” ফরাসি দার্শনিক পল জানে (Paul Janet) রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা নির্দেশ করতে গিয়ে বলেছেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান হলো সমাজবিজ্ঞানের সেই শাখা যা রাষ্ট্রের ভিত্তি ও সরকারের নীতি সম্পর্কে আলোচনা করে। আবার জার্মান দার্শনিক ব্লন্টলি (Bluntschi) বলেছেন, “রাষ্ট্র সম্পর্কিত বিজ্ঞানই রাষ্ট্রবিজ্ঞান।” রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সিলির মতে, সরকার সম্পর্কে অনুসন্ধান করাই হলো রাষ্ট্রবিজ্ঞানের কাজ।
সুতরাং সনাতন বা রাষ্ট্রকেন্দ্রিক সংজ্ঞা থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পর্যালোচনার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
পাওয়া যায়। যথা—(১) রাষ্ট্রের উদ্ভব ও তার প্রকৃতি; (২) রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের স্বরূপ; (৩) রাষ্ট্রনৈতিক সম্প্রসারণের সাধারণ সূত্রের সন্ধান।
অ-রাষ্ট্রকেন্দ্রিক সংজ্ঞা : আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা রাষ্ট্রকেন্দ্রিক সংজ্ঞাসমূহের সমালোচনা করেছেন ও সংকীর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন। আধুনিক লেখকদের মধ্যে ল্যাসওয়েল, কাপলান, রবসন, রবার্ট ডাল, ডেভিড ইস্টন, অ্যালান বল প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। হ্যারল্ড ল্যাসওয়েল (Harold Lasswell) বলেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান হলো সমাজের প্রভাব ও প্রভাবশালীদের সম্পর্কে আলোচনা (Politics is the study of influence and the influential)। কাপলানও অনুরূপ বলেছেন, “রাষ্ট্রবিজ্ঞান হলো ক্ষমতা সৃষ্টি ও বন্টনের আলোচনা।” রবার্ট ডাল মনে করেন, “ক্ষমতা ও শাসন কর্তৃত্বই হলো রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মূল বিষয়। অর্থাৎ রাষ্ট্রবিজ্ঞান আলোচনা করে ক্ষমতা, শাসন ও কর্তৃত্ব নিয়ে। অধ্যাপক অ্যালান বল মনে করেন, “রাষ্ট্রবিজ্ঞান হলো সেই শাস্ত্র যা বিরোধ ও বিরোধ মীমাংসার আলোচনা করে।” ডেভিড ইস্টন রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে রাজনৈতিক ব্যবস্থার কর্তৃত্ব বিষয়ক আলোচনামূলক শাস্ত্র বলে চিহ্নিত করেন। তাঁর ভাষায়, “রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলতে বোঝায় মূল্যের কর্তৃত্ব সম্পন্ন বরাদ্দের পঠন-পাঠন (Political science is the study of the authoritative allocation of values) | তাঁর মতে, সমাজের মূল্যবান পদগুলির কর্তৃত্বসম্পন্ন বন্টন নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান আলোচনা করে।
সুতরাং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অ-রাজনৈতিক বা আধুনিক সংজ্ঞাগুলি থেকে দুটি বিষয় স্পষ্ট হয়। তাহলো—
(১) কীভাবে সমাজের জন্য কর্তৃত্বমূলক (authoritative) রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়;
(২) কোন্ কোন্ বিষয় ওই সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা
গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা : রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এইসব ‘রাষ্ট্রকেন্দ্রিক’ ও ‘অ-রাষ্ট্রকেন্দ্রিক’ বিভিন্ন সংজ্ঞা থেকে একথা স্পষ্ট হয় যে, ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা নিরূপণের ক্ষেত্রে এঁদের সকলের মধ্যেই মতভেদ আছে। কোনো সর্বজনগ্রাহ্য সংজ্ঞায় তাঁরা উপস্থিত হতে পারেননি। তবুও এইসব সংজ্ঞা থেকে একটি সমন্বায়িত গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা দেওয়া যেতে পারে। বলা যায়, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলতে বোঝায় এরূপ একটি সমাজবিজ্ঞানের শাখাকে, যেখানে বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে রাষ্ট্রের উদ্ভব ও প্রকৃতি, কার্যাবলি, রাষ্ট্রের তত্ত্ব, সরকার, শাসনব্যবস্থা, রাজনৈতিক মতাদর্শ, সংগঠন, আন্তর্জাতিক সংগঠন, বৈদেশিক সম্পর্ক প্রভৃতি নিয়ে যেমন আলোচনা করে, অন্যদিকে তেমনি ক্ষমতা, দ্বন্দ্ব, কর্তৃত্ব, প্রভাব ও প্রভাবশালীদের আচরণ, ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর আচরণ, রাজনৈতিক বিরোধি, রাজনৈতিক সংস্কৃতি, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক দল ও চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা করে ও মূল্যায়ন করে।
একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – প্রথম অধ্যায় – রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু ও বিবর্তন ।
প্রথম অধ্যায় – রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু ও বিবর্তন
1. রাষ্ট্রকে একটি ‘শাশ্বত প্রতিষ্ঠান’ বলে মনে করেন না—
(A) গান্ধিবাদ
(B) উদারনীতিবাদ
(C) মার্কসবাদ
(D) সমাজতন্ত্রবাদ
2. অ্যাডাম স্মিথ ছিলেন একজন—
(A) ঐতিহাসিক
(B) রাষ্ট্রবিজ্ঞানী
(C) অর্থনীতিবিদ
(D) আবহবিদ
3. উদারনীতিবাদ অর্থনৈতিক সাম্যের
(A) স্বীকৃতি দেয়
(B) স্বীকৃতি দেয় না
(C) গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে
(D) কোনোটাই নয় ।
4. উদারনীতিবাদ রাষ্ট্রের ক্ষমতা-
(A) সীমিত করতে চায়
(B) সীমিত করতে চায় না
(C) উহ্য রাখতে চায়
(D) কোনোটিই নয়
5. ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান হলো রাষ্ট্রের বিজ্ঞান’, বলেছেন-
(A) জন স্টুয়ার্ট মিল;
(B) গেটেল;
(C) ব্লুন্টলি
(D) পোলক
6. ‘ব্যবস্থাজ্ঞাপক দৃষ্টিভঙ্গির প্রবক্তা-
(A) লাথাম
(B) বেত্থাম
(C) ডেভিড ইস্টন
(D) অ্যালান বল।
7. রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সঙ্গে অর্থবিদ্যার সম্পর্ক—
(A) আছে
(B) নেই
(C) বিষয় দুটি পরস্পর-বিরোধী
(D) কোনোটাই নয়
8. অ্যারিস্টটল ছিলেন
(A) ব্রিটিশ দার্শনিক
(B) গ্রিক দার্শনিক
(C) ফরাসি দার্শনিক
(D) ভারতীয় দার্শনিক
9. রাজনীতির আধুনিক ধারণার সূত্রপাত করেন—
(A) ল্যাসওয়েল
(B) মিলার
(C) সিসেরো
(D) ইস্টন
10. রাষ্ট্রবিজ্ঞান হলো একটি—
(A) নীতিনিষ্ঠ বিজ্ঞান
(B) নিয়মনিষ্ঠ বিষয়
(C) অবাস্তব বিজ্ঞান
(D) বস্তুনিষ্ঠ বিজ্ঞান
11. ‘ইতিহাস ছাড়া রাষ্ট্রবিজ্ঞান ভিত্তিহীন, আবার রাষ্ট্রবিজ্ঞান ছাড়া ইতিহাস আলোচনা নিষ্ফল’, বলেছেন—
(A) সিলি
(B) মিল
(C) ব্যোম
(D) পোলক
12. রাজনীতিকে একটি ‘ক্রিয়াকলাপ’ বলেছেন—
(A) লর্ড ব্রাইস
(B) জেনিংস
(C) অ্যালান বল
(D) ম্যাকেঞ্জী
13. “রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শুরু ও শেষ রাষ্ট্রকে নিয়ে”, বলেছেন—
(A) গার্নার
(B) ব্রাডলি
(C) গেটেল
(D) হেগেল
14. রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে নীতিশাস্ত্রকে প্রথম পৃথক করেন—
(A) সক্রেটিস
(B) সিসেরো
(C) ম্যাকিয়াভেলি
(D) পল জানে
15. রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি—
(A) সম্পূর্ণ বিজ্ঞান
(B) অসম্পূর্ণ বিজ্ঞান
(C) সাধারণ বিজ্ঞান
(D) বিজ্ঞান নয়
16. ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান হলো একটি প্রগতিশীল বিজ্ঞান’, বলেছেন—
(A) ব্রাইস
(B) মেটল্যাণ্ড
(C) ইস্টন
(D) সিলি
17. ‘উপযোগিতাবাদ’ কথাটির সঙ্গে জড়িত—
(A) বেন্থামের নাম
(B) এঙ্গেলসের নাম
(C) ডেভিড ইস্টনের নাম
(D) জন লকের নাম।
18. রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাস একে অপরের
(A) পরিপূরক
(B) অনুপূরক
(C) পরিপন্থী
(D) কোনোটাই নয়
19. মানুষের রাজনৈতিক চিন্তার ও চেতনার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রকাশ হলো—
(A) সমাজ
(B) রাষ্ট্র
(C) নগর
(D) রাজনৈতিক দল
20. ‘দ্য প্রিন্স’ গ্রন্থটির লেখক—
(A) রুশো
(B) ম্যাকিয়াভেলি
(C) জন লক্
(D) ফ্রেডরিখ পোলক
21. রাষ্ট্রবিজ্ঞানের তুলনায় সমাজবিদ্যার পরিধি—
(A) ব্যাপক
(B) ব্যাপক নয়
(C) উভয়ই
(D) কোনোটাই নয়
22. রাষ্ট্রবিজ্ঞান হলো একটি—
(A) সামাজিক বিজ্ঞান
(B) প্রাকৃতিক বিজ্ঞান
(C) অর্থবিজ্ঞান
(D) চিকিৎসা বিজ্ঞান
23. ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান’ শাস্ত্রটি—
(A) মূল্যমান নিরপেক্ষ
(B) মূল্যমান নিরপেক্ষ নয়
(C) উভয়ই
(D) এগুলির মধ্যে একটিও নয়
24. উদারনীতিবাদের প্রবক্তা ছিলেন—
(A) জন স্টুয়ার্ট মিল
(B) হেগেল
(C) ডেভিড ইস্টন
(D) মর্টন কাপলান
25. রাজনীতি হলো রাষ্ট্রবিজ্ঞানের-
(A) তত্ত্বগত দিক
(B) সাধারণ দিক
(C) ব্যবহারিক দিক
(D) বস্তুগত দিক
26. সরকারের ক্ষমতাকে সীমিত করার পক্ষপাতী
(A) উদারনীতিবাদ
(B) মার্কসবাদ
(C) নৈরাজ্যবাদ
(D) সাম্রাজ্যবাদ
27. সমাজবিদ্যা হলো ;সমাজের বিজ্ঞান’, বলেছেন-
(A) হার্ভে ও ব্যথার ;
(B) ম্যাকাইভার ও পেজ
(C) বেত্থাম ও মিল
(D) অ্যামণ্ড ও পাওয়েল
28. রাষ্ট্রদর্শন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একটি—
(A) তত্ত্বগত দিক
(B) ব্যবহারিক দিক
(C) সাধারণ দিক
(D) কোনোটাই নয়
29. ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে ‘ইউনেসকো (UNESCO)-র উদ্যোগে প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয়—
(A) আন্তর্জাতিক কৃষক সম্মেলন
(B) আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলন
(C) বসুন্ধরা সম্মেলন
(D) আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্মেলন
30. উদারনীতিবাদের জনক বলা হয়—
(A) জন স্টুয়ার্ট মিলকে
(B) জন লক্কে
(C) ডেভিড ইস্টনকে
(D) ম্যাকিয়াভেলিকে
31. রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অ-রাষ্ট্রকেন্দ্রিক সংজ্ঞা দিয়েছেন—
(A) অ্যালান বল
(B) গার্নার
(C) গেটেল
(D) অ্যারিস্টটল
32. অর্থবিদ্যাকে একটি পৃথক শাস্ত্র হিসাবে প্রথম তুলে ধরেন—
(A) রিকার্ডো
(B) অ্যাডাম স্মিথ
(C) ম্যালথাস
(D) রবার্ট নোজিক
33. ‘পলিটিক্স’ গ্রন্থটির রচয়িতা-
(A) সক্রেটিস
(B) প্লেটো
(C) অ্যারিস্টটল
(D) ফয়েরবাখ
34. ‘দ্য ওয়েল্থ অব্ নেশনস্’ বইটির লেখক—
(A) ডেভিড রিকার্ডো
(B) অ্যাডাম স্মিথ
(C) হ্যারল্ড ল্যাসওয়েল
(D) মর্টন কাপলান
35. রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে ‘রাষ্ট্রের বিজ্ঞান’ বলেছেন—
(A) গার্নার
(B) ব্লুন্টসলি
(C) অ্যারিস্টটল
(D) হেগেল
36. ম্যাকিয়াভেলি ছিলেন—
(A) পোল্যান্ডের অধিবাসী
(B) ইতালির অধিবাসী
(C) ভারতের অধিবাসী
(D) গ্রিসের অধিবাসী
37. ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান হলো মূল্যের কর্তৃত্বসম্পন্ন বরাদ্দের পাঠ’, বলেছেন—
(A) ডেভিড ইস্টন
(B) হ্যারল্ড ল্যাসওয়েল
(C) ডেভিড রিকার্ডো
(D) অ্যালান বল
38. রাষ্ট্রবিজ্ঞান আলোচনা করে –
(A) কেবলমাত্র রাষ্ট্রকে নিয়ে
(B) কেবলমাত্র সরকারকে নিয়ে
(C) কেবলমাত্র নাগরিককে নিয়ে
(D) রাষ্ট্র ও সরকার উভয়কে নিয়ে।
39. ‘মর্ডান পলিটিক্স এ্যাণ্ড গভর্ণমেন্ট’ বইটির লেখক—
(A) অ্যালান বল
(B) কার্ল পপার
(C) এ. ভি. ডাইসি
(D) রজনী কোঠারী
40. রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বলা হয়—
(A) অ্যারিস্টটলকে
(B) সক্রেটিসকে
(C) প্লেটোকে
(D) সিসেরোকে
41. বেনথাম কোন্ শতাব্দীর লোক
(A) অষ্টাদশ শতাব্দী
(B) ঊনবিংশ শতাব্দী
(C) একবিংশ শতাব্দী
(D) বিংশ শতাব্দী
42. মানুষ স্বভাবতই রাজনৈতিক জীব। বলেছেন—
(A) গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল
(B) জার্মান দার্শনিক হেগেল
(C) ব্রিটিশ দার্শনিক গ্রিণ
(D) এঁদের মধ্যে কেউ নয়
43. একটি সামাজিক ক্রিয়া হলো-
(A) মানবিক আন্দোলন
(B) বিদেশনীতি;
(C) উভয়ই;
(D) কোনোটিই নয় ৷
44. ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান’ হল একটি-
(A) নৃবিজ্ঞান
(B) সামাজিক বিজ্ঞান
(C) অর্থনৈতিক বিজ্ঞান
(D) আবহবিজ্ঞান
45. ‘দ্য পলিটিক্যাল সিস্টেম’ বইটি লিখেছেন—
(A) ডেভিড ইস্টন
(B) হ্যারল্ড ল্যাস্কি
(C) জন লক্
(D) গ্যাব্রিয়েল অ্যামণ্ড
46. ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান’ হলো একটি-
(A) পদার্থবিজ্ঞান
(B) স্থিতিশীল বিজ্ঞান
(C) গতিশীল বিজ্ঞান
(D) বস্তুনিষ্ঠ বিজ্ঞান
47. রাজনীতিকে অর্থনীতির ঘনীভূত প্রকাশ বলেছেন—
(A) লেনিন
(B) রাসেল
(C) হেগেল
(D) ফয়েরবাখ
48. উদারনীতিবাদের প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয় হলো—
(A) স্বাধীনতা
(B) অর্থনৈতিক সাম্য
(C) গণতন্ত্র
(D) সমাজতন্ত্র
49. রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু হলো—
(A) বাস্তব রাজনীতি
(B) তত্ত্বগত রাজনীতি
(C) তত্ত্বগত ও ব্যবহারিক রাজনীতি
(D) কোনোটাই নয়
50. “যে ব্যক্তি সমাজে বাস করে না, সে হয় দেবতা, না হয় পশু”—কথাটি বলেছেন—
(A) অ্যারিস্টটল
(B) সিসেরো
(C) মার্সিগলিও
(D) অ্যাকুইনাস
51. ‘শ্রেণি সংগ্রাম’-এর ধারণাটি—
(A) হেগেলের নামের সঙ্গে যুক্ত
(B) বার্ণহার্ডির নামের সঙ্গে যুক্ত
(C) মার্কসের নামের সঙ্গে যুক্ত
(D) রাসেলের নামের সঙ্গে যুক্ত
52. রাষ্ট্রদর্শনের জনক হলেন—
(A) প্লেটো
(B) সেন্ট টমাস অ্যাকুইনাস
(C) মার্সিলিও
(D) ম্যাক্স ওয়েবার
53. গ্রিক শব্দ ‘পোলিস’ কথার অর্থ—
(A) রাষ্ট্র
(B) নগর রাষ্ট্র
(C) পৌরসভা
(D) জেলা পরিষদ
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নোটস –
ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা | Click Here |
ভারতীয় সংবিধানের উৎস | Click Here |
সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ ধারা তালিকা | Click Here |
গুরুত্বপূর্ণ সংবিধান সংশোধনী তালিকা | Click Here |
সংবিধানের বিভিন্ন পার্ট | Click Here |
ভারতীয় সংবিধানের রিট বা লেখ | Click Here |
ভারতীয় সংবিধানের জরুরি অবস্থা | Click Here |
ভারতীয় সংবিধানের ১২টি তফসিল (Schedule ) | Click Here |
সংবিধানের অষ্টম তফসিলে উল্লিখিত সরকারি ভাষাসমূহ | Click Here |
জাতীয় তফসিলি জাতি – উপজাতি কমিশন | Click Here |
To check our latest Posts - Click Here