আইসোটোপ, আইসোবার, আইসোটোন, আইসোমার
Isotopes, Isobars, Isotones and Isomers
আইসোটোপ, আইসোবার, আইসোটোন, আইসোমার
আজকে আমরা আলোচনা করবো আইসোটোপ, আইসোবার, আইসোটোন, আইসোমার নিয়ে। নামগুলিতে মিল থাকার কারণে অনেকক্ষেত্রেই পরীক্ষাহলে আমাদের এগুলি গুলিয়ে যায়। আমরা সে কারণের এই সবকটি একসাথে দেওয়ার চেষ্টা করলাম যাতে তোমাদের বুঝতে সুবিধা হয়।
আইসোটোপ
আইসোটোপ কাকে বলে?
যেসব মৌলের পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা বা প্রোটন সংখ্যা একই, কিন্তু ভরসংখ্যা ভিন্ন তাদেরকে পরস্পরের আইসোটোপ বলা হয়।
প্রোটন সংখ্যা একটি মৌলের পরমাণুর একই হয়ে থাকে, তাই বলা যেতে পারে – একই মৌলের বিভিন্ন ভরযুক্ত পরমাণু সমূহকে পরস্পরের আইসোটোপ বলা হয়।
আইসোটোপের উদাহরণ :
H11, H12, H13 – এই তিনটি পরমাণুর প্রতিটির প্রোটন সংখ্যা 1, কিন্তু ভরসংখ্যা যথাক্রমে 1, 2, 3 । এই পরমাণু গুলি একে অপরের আইসোটোপ।
আইসোটোপের আরও কিছু উদাহরণ হল –
- C612, C613, C614
- U92235, U92239
আইসোটোপের বৈশিষ্ট্য
- আইসোটোপগুলির রাসায়নিক ধর্ম একই হয়।
- এদের ভৌত ধর্মের তারতম্য হতে পারে।
- এদের তেজস্ক্রিয়তার তারতম্য হতে পারে।
- পর্যায় সারণিতে একই স্থানে রাখা হয়।
দেখে নাও : বিজ্ঞান MCQ – সেট ১০২ – পর্যায় সারণী প্রশ্ন উত্তর
আইসোবার
আইসোবার কাকে বলে?
যেসব মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা বা প্রোটন সংখ্যা ভিন্ন, কিন্তু ভর সংখ্যা একই তাদেরকে পরস্পরের আইসোবার বলে।
আইসোবারের উদাহরণ :
Cu2965, Zn3065 – এই পরমাণু দুটির পারমাণবিক সংখ্যা বা প্রোটন সংখ্যা যথাক্রমে ২৯ এবং ৩০ কিন্তু দুটির ভর সংখ্যা সমান – ৬৫ । তাই এই দুটি পরমাণু একে অপরের আইসোবার।
আইসোবারের আরও কিছু উদাহরণ হল –
- Ar1840, K1940, Ca2040
আইসোবারের বৈশিষ্ট্য
- এদের ভরসংখ্যা একই হয়।
- রাসায়নিক ও ভৌত ধর্ম আলাদা হয়।
- এদের তেজস্ক্রিয়তার তারতম্য হতে পারে।
- পর্যায় সারণিতে এদের ভিন্ন স্থানে রাখা হয়।
আইসোটোন
আইসোটোন কাকে বলে?
যেসব মৌলের প্রোটন সংখ্যা বা পারমাণবিক সংখ্যা এবং ভরসংখ্যা ভিন্ন, কিন্তু নিউট্রন সংখ্যা একই তাদেরকে পরস্পরের আইসোটোন বলে।
আইসোটোনের উদাহরণ :
Si1430 এই পরমাণুটির প্রোটন সংখ্যা 14 এবং ভরসংখ্যা 30। সুতরাং নিউট্রন সংখ্যা = ভরসংখ্যা – প্রোটন সংখ্যা = 30 – 14 = 16
আবার
P1531 এই পরমাণুটির প্রোটন সংখ্যা 15 এবং ভরসংখ্যা 31। সুতরাং নিউট্রন সংখ্যা = ভরসংখ্যা – প্রোটন সংখ্যা = 31 – 15 = 16
সুতরাং Si1430 এবং P1531 দুটি পরমাণুর ক্ষেত্রে প্রোটন সংখ্যা বা পারমাণবিক সংখ্যা এবং ভরসংখ্যা ভিন্ন, কিন্তু নিউট্রন সংখ্যা একই । তাই এই দুটি পরমাণু একে ওপরের আইসোটোন।
আইসোটোনের আরও কিছু উদাহরণ হল –
- C614, N715, O816
আইসোটোনের বৈশিষ্ট্য
- এদের পারমাণবিক সংখ্যা, ভরসংখ্যা ভিন্ন হয় কিন্তু নিউট্রন সংখ্যা একই হয়।
- রাসায়নিক ও ভৌত ধর্ম আলাদা হয়।
- এদের তেজস্ক্রিয়তার তারতম্য হতে পারে।
- পর্যায় সারণিতে এদের ভিন্ন স্থানে রাখা হয়।
আইসোমার
আইসোমার কাকে বলে ?
বিভিন্ন যৌগ যাদের একটি অনুর মধ্যে বিভিন্ন মৌলের পরমাণু সংখ্যা এক কিন্তু পরমাণু বিন্যাস আলাদা হওয়ার কারণে তাদের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম আলাদা, এদেরকে একে অপরের আইসোমার বলা হয়ে থাকে।
Download Section :
- File Name : আইসোটোপ, আইসোবার, আইসোটোন, আইসোমার – বাংলা কুইজ
- File Size : 2.5 MB
- No. of Pages : 04
- Format : PDF
- Language : Bengali
- Subject : General Science
আরও দেখে নাও :
- বিভিন্ন গ্যাসের ব্যবহার – Uses of Different Gases – PDF
- বিভিন্ন ধাতুর আকরিক । List of Important Metals and their Ores
- ডালটনের পরমাণুবাদ (Dalton’s Atomic Theory)
- বিভিন্ন পরিমাপক যন্ত্রসমূহের নাম ও কাজের তালিকা PDF
To check our latest Posts - Click Here