History NotesGeneral Knowledge Notes in Bengali

প্রাগৈতিহাসিক যুগের ইতিহাস – প্রস্তর যুগ – PDF Download

Pre-Historic Age - Stone Age

প্রাগৈতিহাসিক যুগের ইতিহাস – প্রস্তর যুগ

প্রিয় পাঠকেরা, আজকে আমরা আলোচনা করবো প্রাগৈতিহাসিক যুগের ইতিহাস ও প্রস্তর যুগের ইতিহাস নিয়ে।

প্রাগৈতিহাসিক যুগ কাকে বলে ?

ইতিহাস হলো মানুষের অতীত ঘটনা , জীবনধারা ও কার্যাবলীর বিবরণ। ইতিহাস বলতে মূলত লিখিত ইতিহাসকেই বোঝানো হয়ে থাকে। কিন্তু মানুষ লিখতে শেখার আগের যে ইতিহাস সেটিকেই মূলত প্রাগৈতিহাসিক যুগের ইতিহাস বলা হয়ে থাকে।

পৃথিবীর জন্ম হয়েছে প্রায় ৪৫ লক্ষ বছর আগে । মানুষের উদ্ভব হয়েছিল প্রায় ৩৬ লক্ষ বছর আগে বিভিন্ন বিবর্তনের মধ্য দিয়ে এমনটাই অনুমান করে থাকেন ইতিহাসবিদরা। ভারতের মাটিতেও প্রায় ৫ লক্ষ বছর আগে মানুষের বসবাস ছিল তার প্রমান পাওয়া যায়। মানবসংস্কৃতির প্রারম্ভকাল থেকে শুরু করে লিখিত উপাদান প্রাপ্তির মধ্যবর্তী সময়কালকে প্রাগৈতিহাসিক যুগ (Pre-Historic Age ) বলা হয়ে থাকে।

প্রাগৈতিহাসিক যুগ কথাটির ব্যবহার :

ফরাসি প্রত্নতত্ত্ববিদ পল তূর্নাল দক্ষিণ ফ্রান্সের গুহায় প্রাপ্ত প্রাচীন নিদর্শনগুলোর বিবরণ দিয়ে গিয়ে ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম প্রাগৈতিহাসিক বা প্রাক-ঐতিহাসিক কথাটি ব্যবহার করেন। ইংরেজিতে Pre-Historic কথাটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন ড্যানিয়েল উইলসন ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে।

বিভিন্ন প্রত্নতত্ত্ববিদ পাথরে নির্মিত হাতিয়ারের ক্রমোন্নতি  লক্ষ করে প্রাগৈতিহাসিক যুগকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন –

  • প্রাচীন প্রস্তর যুগ (Paleolithic Age )
  • মধ্য প্রস্তর যুগ (Mesolithic Age )
  • নব্য প্রস্তর যুগ (Neolithic Age )

প্রাচীন প্রস্তর যুগ (Paleolithic Age )

  • সময়কাল : ৫,০০,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ – ৯০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ
  • এই যুগের মানুষেরা শিকার শিকার ও খাবার যোগাড় করে বেঁচে থাকতো। তারা কৃষিকাজ, আগুনের ব্যবহার, মাটির পাত্র তৈরী করতে জানত না।
  • এই যুগের মানুষদের নেগ্রিটো (Negrito ) বলা হতো। এদের গায়ের রং কালো, উলের মতো চুল, নাক চ্যাপ্টা ও বেঁটে ।
  • কোয়ার্টজ নামক পাথর থেকে হাতিয়ার তৈরী করত বলে এদের কোয়ার্টজ মানুষ বলা হয়।
  • এযুগের মানুষেরা ভারতের সর্বত্র ছড়িয়ে ছিল শুধুমাত্র গঙ্গা ও সিন্ধুর সমভূমি ছাড়া।
  • এই যুগের হাতিয়ারের নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে পাঞ্জাবের সোহান নদীর জলের নিচের মাটিতে ( বর্তমানে পাকিস্তানে ), উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর জেলার বোলান উপত্যকায়।
  • এই যুগের শেষের দিকে আধুনিক মানুষ বা হোমো-স্যাপিয়েন্স মানুষের উদ্ভব হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়।

মধ্য প্রস্তর যুগ (Mesolithic Age )

  • সময়কাল : ৯০০০ – ৪০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ।
  • এই যুগের আবহাওয়া ছিল উষ্ণ ও শুস্ক প্রকৃতির।
  • এই যুগের হাতিয়ারগুলো সিলিকেট এবং চেলসিডোনি পাথর দিয়ে তৈরী হত যা আকারে ক্ষুদ্র ও সুচালো ছিল। এগুলিকে Microliths (ক্ষুদ্র পাথর ) বলা হত।
  • মধ্য প্রস্তর যুগের মানুষ শিকার করা, মাছ ধরা, খাবার জোগাড় করা এবং পরবর্তীকালে পশুপালন করে জীবিকা নির্বাহ করত।
  • এই যুগের নিদর্শন পাওয়া যায় ছোটনাগপুর অঞ্চল, মধ্য ভারত এবং দক্ষিণে কৃষ্ণা নদীর কাছে।
  • ভীমবেদকা, আদমগড়, প্রতাপগড় ও মির্জাপুর এ এই যুগের চিত্রশিল্পের প্রমান মিলেছে।

নতুন প্রস্তর যুগ (Neolithic Age )

  • সময়কাল : ৪০০০ – ১৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ।
  • এই যুগের মানুষ কৃষিকাজ জানত। তারা বার্লি, গম, ধান, ভুট্টা, ফল প্রভৃতি উৎপাদন করত।
  • গৃহপালিত পশু – ভেড়া, ছাগল প্রভৃতি পালন করত।
  • বাঁশে-বাঁশ ও পাথরে পাথর ঘষে আগুন জ্বালতে শেখে এই যুগের মানুষ।
  • চাকার ব্যবহার জানতো এই যুগের মানুষ।
  • নৌকা তৈরী, সুতি ও উলের কাপড় তৈরী করতে জানত।
  • এই যুগের হাতিয়ার ছিল উন্নত, মসৃন এবং অনেক বেশি নিপুন ও কার্যকর।
  • এই যুগের শেষের দিকে মানুষ গোলাকার, চতুরাকার – মাটি ও নলখাগড়ার তৈরী বাড়িতে বসবাস করত।
  • বড়  মৃৎপাত্রে মৃতদেহ রেখে তা কবরস্থ করা হত। কবরের ওপর অনেক ক্ষেত্রে পাথরের আচ্ছাদন দেওয়া হত।
  • এই যুগের নিদর্শন পাওয়া যায় – বেলুচিস্তানের মেহেরগড়, অন্ধ্রের পিকলিহিল, জম্মু-কাশ্মীর, মাস্কি, মেঘালয়ের গারো পাহাড়, কর্ণাটকের তেকালাকোটা, বিহারের চিরান্দ প্রভৃতি জায়গাতে।

প্রস্তর যুগের ঠিক পরেই মানুষ তামার ব্যবহার শিখতে থাকে। নতুন প্রস্তর যুগের শেষ থেকে ধীরে মানুষ পাথর থেকে ধাতুর ব্যবহারে বেশি মনোযোগী হয়ে পরে।

তাম্র-প্রস্তর যুগ (Chalcolithic Age )

  • সময়কাল :  ১৮০০ – ১০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ।
  • পাথরের পরিবর্তে ধাতু দিয়ে হাতিয়ার তৈরী করা হত। প্রথমদিকে তামা দিয়ে এবং

আরও দেখে নাও :

Download Section

File Name : প্রাগৈতিহাসিক যুগের ইতিহাস – প্রস্তর যুগ – বাংলা কুইজ
File Size : 1.5 MB
Format : PDF
No. of Pages : 03

To check our latest Posts - Click Here

Telegram

Related Articles

Back to top button