NotesGeneral Knowledge Notes in Bengali

বিশ্বের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অতিমারী – মহামারী তালিকা

Worst Epidemics and Pandemics in History

বিশ্বের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অতিমারী – মহামারী তালিকা

প্রিয় পাঠকেরা, আজকে আমরা আলোচনা করবো বিশ্বের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অতিমারী – মহামারী (Worst Epidemics and Pandemics in History ) নিয়ে। আমরা বর্তমান কালে সকলেই করোনা মহামারী সম্পর্কে সুপরিচিত, কিন্তু শুধু করোনা নয়, এর আগেও বহুবার বিশ্ব এরকম আরো অতিমারী / মহামারীর সম্মুখীন হয়েছে। আজকে আমাদের এই পোস্টে আমরা সেই তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।

দেখে নাও : বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন এবং তার আবিস্কারক – PDF

জাস্টিনিয়ান প্লেগ

৫৪১-৫৪৯ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এই প্লেগ মহামারীর আকার ধারণ করেছিল।

শুরুটা হয়েছিল মিসর থেকে। এরপর সেখান থেকে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ও ক্রমশঃ ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এই প্লেগ। ৫৪১ খ্রিস্টাব্দে এই মহামারী বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী কনস্টানটিনপোলে পৌঁছয়। সম্রাট জাস্টিনিয়ান ওই সময় রোমান সাম্রাজ্যের সঙ্গে বাইজেন্টাইনকে একীভূত করার পরিকল্পনা করছিলেন। কিন্তু এই মহামারীর কারণে তা হয়ে ওঠেনি। সম্রাট জাস্টিনিয়ানের নামেই এই মহামারীর নাম দেওয়া হয় জাস্টিনিয়ান প্লেগ (Plague of Justinian/ Justinianic plague )।

দেখে নাও : মানবদেহের রোগ ও রোগাক্রান্ত অংশ

এই প্লেগের মূল বাহক ছিল ইঁদুর। কনস্টানটিনপোল থেকে এই রোগ ক্রমশ ইউরোপ, এশিয়া, উত্তর আমেরিকা ও আরব অঞ্চলে ছড়িয়ে পরে। অনুমান করা হয় এই রোগে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের মৃত্য হয়েছিল। এই রোগের ভয়াবহতা এমন ছিল যে অনেকের মতে তৎকালীন বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

২০১৩ সালের আশেপাশে গবেষকরা বলেন যে এই রোগের জন্য দায়ী ছিল Yersinia pestis। এটি একটি ব্যাকটেরিয়া যেটি কুখ্যাত ব্ল্যাক ডেথ (Black Death ) রোগের জন্য দায়ী।

ব্ল্যাক ডেথ

১৩৪৭-১৩৫১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এই রোগ বিপুলভাবে ছড়িয়ে পরে।

জাস্টিনিয়ান প্লেগের প্রায় ৮০০ বছর পরে আবার এক প্লেগ মহামারীর আকার ধারণ করে। এই প্লেগ ব্ল্যাক ডেথ নামে পরিচিত ছিল। ১৩৪৭ খ্রিস্টাব্দে এই রোগ ইউরোপে ছড়িয়ে পরে। এই রোগে সারা বিশ্ব জুড়ে প্রায় ২০কোটি মানুষের মৃত্যু হয়। এই প্লেগ ছিল এক ধরণের বুবোনিক প্লেগ

এই রোগের বৈজ্ঞানিক কারণ সঠিক ভাবে জানা যায়নি কিন্তু বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন এই রোগটির জন্যও দায়ী ছিল ব্যাকটেরিয়া Yersinia pestis এবং এই ব্যাকটেরিয়া মাছির মাধ্যমে একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে পরছিল। সঠিক বৈজ্ঞানিক কারণ না জানা থাকলেও তৎকালীন সমাজ বুঝতে পেরেছিলো জনঘনত্ব বেশি হলে ও রোগীর সংস্পর্শে এলে এই রোগ ছড়িয়ে পরে। এই কারণে এই সময় কোয়ারেন্টিন প্রথার চালু করা হয়। বাইরে থেকে কেউ এলে, বিশেষত নাবিকদের বন্দরগুলিতে প্রায় ৪০দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হত। আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিনের নিয়ম চালু হওয়ার পর ধরে ধরে এই রোগ নিয়ন্ত্রনে আসে।

দেখে নাও : বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন এবং তার আবিস্কারক – PDF

দ্য গ্রেট প্লেগ অব লন্ডন

ব্ল্যাক ডেথের পর থেকে লন্ডন শহর নির্দিষ্ট সময় পর পর প্লেগের আক্রমণে একসময় জর্জরিত হয়েছিল। তবে এই রোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করে ১৬৬৫ খ্রিস্টাব্দে।

প্রায় সাত মাস ব্যাপী এই রোগ লন্ডন শহরকে ক্ষত-বিক্ষত করতে থাকে। শুধু লন্ডন শহরেই এই রোগের কারণে মৃত্য হয় ১ লাখেরও বেশি।

এই রোগের বাহক মনে করা হয় কুকুর ও বেড়ালকে। রোগের আতঙ্কে নির্বিচারে মেরে ফেলা হয় শহরের কুকুর ও বেড়ালদের।

এই রোগ থেকে বাঁচতে সম্পূর্ণ লকডাউন চালু করা হয় ও আক্রান্তদের চিহ্নিত করা হয়। এই রোগে মৃতদের লাশ জোর করে গণকবর দেওয়া হয়। শক্ত হাতে রোগ সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সেদিকে নজর দেওয়ায় ধীরে ধীরে এই রোগ নিয়ন্ত্রিত হয়ে পরে।

দেখে নাও : মানবদেহের রোগ ও তাদের জীবাণু নাম তালিকা

গুটিবসন্ত – স্মল পক্স

১৫-১৭ শতকের মধ্যে এই রোগ ইউরোপ , এশিয়া ও আরব অঞ্চলে ছড়িয়ে পরে।

ইউরোপে এই রোগ ছড়িয়ে পরলেও ধীরে ধীরে সেই অঞ্চলের নাগরিকদের মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা চলে আসতে থাকে। কিন্তু ১৫ শতকে ইউরোপীয়রা নতুন উপনিবেশ স্থাপনের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পরে। এই উপনিবেশগুলোর আদিবাসী জনগোষ্ঠীর কাছে গুটিবসন্ত ছিল একেবারেই নতুন রোগ। মেক্সিকো ও আমেরিকার জনগোষ্ঠীর এই রোগ প্রতিরোধ করার কোনো প্রাকৃতিক ক্ষমতা ছিল না। মনে করা হয় এই রোগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৯০% নাগরিক আক্রান্ত হয়েছিল এবং ২ কোটির বেশি মানুষ মারা গিয়েছিলো।

এই রোগের জন্য দায়ী ছিল ভ্যারিওলা ভাইরাস। গুটিবসন্ত মহামারি হিসেবে দেখা দেওয়ার প্রায় শতাব্দীকাল পর এডওয়ার্ড জেনার নামের একজন ব্রিটিশ চিকিৎসক গুটিবসন্তের টিকা তৈরীর উপায় আবিষ্কার করেন এবং তাঁর দেখানো পথ ধরে গুটিবসন্তের টিকা আবিষ্কৃত হয়।

দেখে নাও : বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন এবং তার আবিস্কারক – PDF

টিকা আবিষ্কারের পর ধীরে ধীরে এই রোগ বিশ্ব থেকে কমে যেতে শুরু করে। ১৯৮০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পৃথিবীকে গুটিবসন্তমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করে।

কলেরা

প্লেগের মত কলেরাও এককালে সারা বিশ্বকে ভুগিয়েছিল। ১৮১৭ সালে রাশিয়াতে প্রথম কলেরা মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঘটে ।

রাশিয়াতে প্রায় ১০লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল কলেরাতে। ক্রমশ এই রোগ স্পেন, জাপান, আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ইতালি, আমেরিকা, জার্মানি ও ভারতে ছড়িয়ে পরে। মোট প্রায় ২৫লক্ষ মানুষ এই মহামারীতে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলো। প্রায় দেড়শো বছর ধরে কলেরা দফায় দফায় মহামারীর আকার ধারণ করেছিল।

কলেরার কারণ বার করতে গিয়ে গবেষকরা লক্ষ্য করেন যে দূষিত জলের এলাকায় কলেরার প্রাদুর্ভাব বেশি। পরবর্তীকালে জন স্নো নামক এক ব্রিটিশ চিকিৎসক দূষিত জলের সাথে এই রোগের যোগসূত্র আবিষ্কার করেন।

ভিব্রিও কলেরি ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে দূষিত জল ও খাদ্যের মাধ্যমে এই রোগ মানুষের দেহে সংক্রমিত হচ্ছিল। ক্রমশ জল ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করে খাওয়া শুরু করলে এই রোগের প্রভাব কমতে থাকে।

বর্তমানে উন্নত দেশগুলিতে কলেরা পুরোপুরি নির্মূল করা গেলেও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে এখনো রয়েছে।

স্প্যানিশ ফ্লু

১৯১৮-২০ সালের মধ্যে এই ফ্লু ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পরে। এটি ১৯১৮ সালের ফ্লু মহামারী হিসেবেও পরিচিত।

এই ইনফুয়েঞ্জা ঘটিত রোগ ১৯২০ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫০কোটি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে গিয়েছিলো। তৎকালীন বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ জনসংখ্যা আক্রান্ত হয়েছিল। আনুমানিক ৫-১০ কোটি মানুষ এই মহামারীতে মারা যায়। এই কারণে এটিকে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক মহামারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে।

স্প্যানিশ ফ্লু H1N1 ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ঘটিত প্রথম মহামারী ছিল। দ্বিতীয়টি ছিল ২০০৯ সালের সোয়াইন ফ্লু।

সংক্রমিত ব্যক্তির হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পরে। রথম বিশ্বযুদ্ধের নিকটতম মহল এবং বিশাল সেনা আন্দোলন মহামারীটি ত্বরান্বিত করেছিল। আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থায় সৈন্য, নাবিক এবং বেসামরিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে এই রোগ আরও সহজে ছড়িয়ে পড়েছিল। রোগটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রিটাউন, সিয়েরা লিওন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন প্রভৃতি জায়গায় ব্যাপভাবে করিয়ে পড়েছিল। ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতে এই রোগের প্রভাবে প্রায় ১ কোটি ৩৯ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিলো।

হং কং ফ্লু

হং কং ফ্লু ১৯৬৮ সালের ফ্লু মহামারী নামেও পরিচিত।

১৯৬৮-৬৯ সালের মধ্যে এই ফ্লু এর কারণে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। এই ফ্লু প্রথম লক্ষ্য করা যায় ১৩ই জুলাই ১৯৬৮ সালে ব্রিটিশ হং কং – এ । পরবর্তীকালে চিনেও এই সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ক্রমশ এই রোগ ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনামেও ছড়িয়ে পরে। ১৯৬৮ এর শেষের দিকে এই রোগ ভারত, উত্তর অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, ইউরোপ, আমেরিকাতেও ছড়িয়ে পরে।

এই রোগটির জন্য দায়ী ছিল ইনফ্লুয়েঞ্জা A ভাইরাসের H3N2 প্রজাতি। এর ভাইরাসের অন্তর্বর্তী পোষক ও বাহক ছিল শূকর।

HIV /AIDS

এইডস হলো এক ধরণের ব্যধি, যাকে মরণব্যধিও বলা হয়। Human immunodeficiency virus বা HIV নামক ভাইরাস এই রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী। 

১৯৮০-র দশকের শুরুতে রোগটি চিহ্নিত করা হয়। পরে এই রোগটি বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পরে। এইডসকে বর্তমানে একটি মহামারী ব্যাধি হিসেবে গণ্য করা হয়, যা বিশ্বের বিশাল এক আয়তন জুড়ে বিদ্যমান এবং যা সক্রিয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। ২০১৭ সালের জরিপ অনুযায়ী এই রোগে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি।

কবার সংক্রামক এইচ.আই.ভি. শরীরে প্রবেশ করলে তাকে পুরোপুরি দূর করা এখনো সম্ভব হয়নি। তাই একবার এই ভাইরাস শরীরে আসা মানে এইডস প্রায় অনিবার্য। বিনা চিকিৎসায় এই রোগে মৃত্যু হতে সময় লাগে প্রায় ১০ বছর। তবে চিকিৎসা দ্বারা আরো কিছু বছর পিছিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু “হার্ট” (HAART) নামে এইডস-এর যে সমন্বিত ওষুধ দ্বারা চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে, তা অত্যন্ত খরচ সাপেক্ষ।

দেখে নাও : বিশ্ব এইডস দিবস – ১ ডিসেম্বর । World AIDS Day

সার্স

সিভিয়ার একিউট রেস্পিরেটরি সিনড্রোম‘ বা সার্স নামের এই রোগের খবর প্রথম বেরোয় ২০০৩ সালে। অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল।

গুয়াংডং-এর এক ডাক্তার ড: লু জানলুং এক অস্বাভাবিক ধরণের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ক’জন রোগীর চিকিৎসা করে তার পারিবারিক এক বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হংকং গিয়েছিলেন। ক্রমশ তাঁর শরীর থেকে এই ভাইরাস সারা হংকং -এ ছড়িয়ে পরে।

২০০৩ সালের সার্স মহামারীতে, সার্স-কোভ-১ সংক্রমিত রোগীদের মধ্যে প্রায় ৯% রোগী মারা যান। ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের মৃত্যুর হার অনেক বেশি, এই সাবসেটের রোগীদের জন্য মৃত্যুর হার ৫০% এর কাছাকাছি।

করোনাভাইরাস দস্তা বা জিঙ্কের প্রতি অত্যন্ত আকৃষ্ট হয়। ফুসফুসে প্রচুর দস্তা আছে। এই ভাইরাস প্রাথমিকভাবে ফুসফুস এবং কৈশিকনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে কারণ এখানে দস্তা-সমৃদ্ধ উৎসেচক পাওয়া যায়।

এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিল ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং ১৭টি দেশে মৃত্যু হয়েছিল ৭৭৪ জনের।

সোয়াইন ফ্লু

২০০৯-১০ সালে বিশ্বের বিভিন্ন অংকে সোয়াইন ফ্লু এর কারণে মৃত্যু হতে থাকে।

এটি এক ধরণের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, মূলত শুকরের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস । অন্যান্য ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতই এটি শ্বাসনালিতে সংক্রমন করে থাকে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ২০০৯ এর জুন মাসে বিশ্বের ৭৪ টি দেশে নতুন H1N1 ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের উপস্থিতির কারণে এই রোগের সাম্প্রতিক অবস্থাকে বিশ্বব্যাপি মহামারী বলে চিহ্নিত করেছে।

যে সকল মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বিশেষ করে শিশু ও বয়বৃদ্ধদের জন্য সোয়াইন ফ্লু বেশি বিপদজনক। এছাড়া হাঁপানী এবং হৃদরোগ আক্রান্ত মানুষেরও এ ফ্লু সম্পর্কে বিশেষ সাবধান থাকা উচিত। তাছাড়া যারা এমন রোগে ভুগছেন যাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায় যেমন, এইডস তাদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকা উচিত।

ইবোলা

২০১৩-১৫ সালে পশ্চিম আফ্রিকায় এই অতিমারী ছড়িয়ে পরেছিলো।

আফ্রিকা মহাদেশের গিনির একটি ছোট্ট গ্রাম থেকে এই অতিমারী ছড়িয়ে পরেছিলো।

এটি একটি ভাইরাসঘটিত রোগ এবং এই রোগের বাহক হল বাদুড়। ইবোলা ভাইরাস যে রোগ করে তার নাম ইবোলা হিমোরেজিক ফিভার। কোনো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে না। এখন পর্যন্ত এই রোগের কোনো টিকা আবিষ্কার হয়নি।

গিনি, লাইব্রেরিয়া, সিয়েরা লিওন প্রভৃতি দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপে বহু মানুষের মৃত্যু ঘটেছিলো।

দেখে নাও : বিভিন্ন ফসলের রোগের নাম তালিকা – PDF

কোভিড-১৯

২০১৯ এর শেষদিকে চীনের উহান, হুপেই প্রদেশ থেকে সারা বিশ্বে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পরে।

এটি করোনাভাইরাস এর নতুন প্রজাতি যাকে করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯ (কোভিড-১৯) হিসাবে উল্লেখ করা হয়।

২০২০ সালের ১১ই মার্চ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯ এর বিস্তারকে মহামারী হিসাবে চিহ্নিত করেছে। পৃথিবীর ২০০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে এই রোগ ছড়িয়ে পরে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, মধ্য চীন, স্পেন, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রাজিল , ইরান, নিউজিল্যান্ড প্রভৃতি দেশে এই সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করে।

To check our latest Posts - Click Here

Telegram

Related Articles

Back to top button