Uncategorized

পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়ার 7 টি চমৎকার উপায় – Top 7 Ways to Focus While Studying :

পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়ার 7 টি চমৎকার উপায় – Top 7 Ways to Focus While Studying :

পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়ার 7 টি চমৎকার উপায় : শিক্ষাবর্ষের শুরু হওয়ার পর দেখতে দেখতে কখন যে পরীক্ষা চলে আসে ধরাই যায়না। সামনেই পরীক্ষা থাকলে আতঙ্কিত হয়ে উঠি আমরা।
আতঙ্কিত হয়োনা, তোমাদেরকে চাপমুক্ত করার এবং পড়াশোনায় তোমাদের মনোযোগ নিয়ে আসার কিছু সেরা উপায় নিয়ে চলে এসেছি আজকের আমাদের এই পোস্টে। হয়তো এর মধ্যে তোমরা বেশ কিছু উপায় জানো, কিন্তু আজ জেনে যাবে সেগুলিকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়।
রোজ মেনে চলবে নিম্নোক্ত কিছু উপায়, তারপর দেখবে দিনে দিনে কেমন সব বদলে যাচ্ছে। তুমিও অন্যদের মতো ঘন্টার পর ঘন্টা মনোযোগ সহকারে পড়তে পারবে।

চলো দেখে নিই সেসমস্ত উপায় / Tips।

Top 7 Ways to Focus While Studying – পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়ার কিছু tips – Top 7 tips for studying

শুদ্ধ ও অশুদ্ধ বানান তালিকা – নিয়ম – PDF – বাংলা ব্যাকরণ

১. পরিকল্পনা করো :

  • যদি কোনো পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নাও, তাহলে প্রথমে খোঁজ নাও পরীক্ষার তারিখ কবে ; তারিখ জানা সম্ভব না হলে অন্তত সপ্তাহ বা কোনো মাসের শুরুর নাকি শেষের দিকে সেটা জেনে রাখতেই হবে।
  • এরপর সেই হিসাবে প্ল্যানিং শুরু করো এবং তৎক্ষণাৎ তোমার পড়াশোনার সময়সূচী তৈরি করো।
  • প্রতি দিনে, প্রতি সপ্তাহে নিজের একটি লক্ষ্য তৈরী করো এবং প্রাণপণ চেষ্টা করো যে সময়ের মধ্যে পরিকল্পনা করেছো সেই সময়ের মধ্যেই ওই অধ্যায় বা একটা অংশ শেষ করার।
  • একটি ক্যালেন্ডার বা কাগজে নিজের পরিকল্পনা লিখে রাখতে পারো। এবং সেই কাগজ বা ক্যালেন্ডারটি পড়ার টেবিল বা পড়ার জায়গার সামনের দেওয়ালে আটকে রাখো।
  • এর মাধ্যমে রোজ নিজের পরিকল্পনায় চোখ বুলিয়ে নিতে পারবে তুমি এবং মনকে আরো দৃঢ় করতে পারবে।

২. পড়াশোনার জন্য একটি আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করো :

  • আরামে পড়াশোনা হয়না ঠিকই, এখানে বলা হচ্ছে পরিবেশটা আরামদায়ক করার জন্য নাকি কোনো শারীরিক আরামের বিষয়ে (যেমন – শুয়ে শুয়ে বিছানায় পড়াশোনা)।
  • পড়ার টেবিল বা পড়ার জায়গা যেন সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে, পড়াশোনা একটি শ্রদ্ধা ও ভক্তির জিনিস।
  • একটি পরিষ্কার স্থান, একটি পরিষ্কার মন না থাকলে পড়াশোনা করা মুশকিল।
  • পড়াশোনার পরিবেশ আরামদায়ক, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হলে ফোকাস করা আরও সহজ হবে।
  • এর পাশাপাশি যদি পড়ার টেবিলে একটি ছোট্ট সুন্দর টবের গাছ রাখতে পারো, সুন্দর আলোর ব্যবস্থা করতে পারো, জায়গাটি সুগন্ধময় করতে পারো তাহলে আরো ভালো হয়।
  • মনে রাখবে, এই ছোট ছোট জিনিসগুলোই মনোযোগ আনার ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করবে।

৩. নিয়মিত পড়ো ও নিয়মিত বিরতি নাও :

  • নিয়মিত পড়ার সাথে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিরতি নিলে স্মৃতিশক্তি ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
  • মূল বিষয়টি হলো নিয়মিত, প্রতিদিন পড়তে হবে। একদিন পড়াশোনা না করে আর পরে দিন ৮ ঘন্টা পড়ে কোনো লাভ নেই।
  • এর চেয়ে যদি নিয়মিত ১ঘন্টা পড়ো, সেটাই অনেক।
  • প্রতি ৪৫ মিনিট পড়াশোনার পর, টেবিল বা পড়ার জায়গা থেকে উঠে অন্য কোথাও যেতে পারো এবং ১৫ মিনিটের একটি বিরতি নিতে পারো। টেবিলে বসে বিরতি নেওয়া উঁচিত নয়।
  • যদি ৩০মিনিট পর ওঠো তাহলে চেষ্টা করবে ১০ মিনিটের কম বিরতি নেওয়ার।
  • দরকার হলে বিরতির সময় বাড়ির বাইরে বা ছাদে যেতে পারো, যেখানে মুক্ত বাতাস পাবে।
  • সর্বোপরি, চেষ্টা কোরো প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে পড়তে বসার। সকালে হলে সকালে, সন্ধ্যায় হলে সন্ধ্যায় কিন্তু নিয়মিত এক সময়। এমনটা করতে পারলে ১ মাসের মাথায় তোমার মনোযোগ ১০গুণ বেড়ে যাবে।

৪. সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরেই থাকো :

  • ফোন ব্যবহার করতেই হবে; কিন্তু সব সময় চেষ্টা করবে কোনো ভালো কাজের জন্য, ভালো জ্ঞানার্জনের জন্য ব্যবহার করার।
  • যদি খুব দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ হও, আজই Facebook, Instagram -এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলি uninstall করো।
  • এই সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত থাকলে, কখনো পড়াশোনায় মনোযোগ বসবেনা; সব সময় চিন্তা করবে কে কি comment করলো, কে কাকে কটা like করলো, কে friend request পাঠালো, কোন তারকার কি হলো, ইত্যাদি আরো অনেক কিছু। যা তোমার পড়াশোনার প্রতি সমস্ত মনোযোগ নষ্ট করে দেবে।
  • কম্পিটিটিভ পরীক্ষার current affairs এর জন্য facebook, Instagram এর মতো app ব্যবহার না করে বিভিন্ন website ব্যবহার করো, যেমন www.banglaquiz.in
  • আর যদি খুবই সমস্যা হয়, এই app গুলিতে নির্দিষ্ট সময়ের timer লাগিয়ে দাও, যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের জন্যই app গুলিকে ব্যবহার করতে পারবে।

৫.পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করো এবং নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাও :

  • পরীক্ষার সময়কালে, প্রায়শই এমন হয় যে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনার প্রতি এত বেশি মনোযোগী হয়ে ওঠে যে, তারা তাদের নিজেদের খেয়াল রাখতেই ভুলে যায়।
  • বিশেষ করে যারা পড়াশোনার সূত্রে বাড়ি থেকে দূরে থাকে, তাদের বেশির ভাগই নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া ছেড়েই দেয় বা অপুষ্টিকর বাইরের খাবার খায় প্রচুর পরিমাণে। এভাবে পড়াশোনা করলে নিজেরই বিপদ।
  • সবসময় মনে রাখবে স্বাস্থ্য আগে, তার পর পড়াশোনা। রোজ নিয়মিত পড়াশোনার সাথে চেষ্টা করো নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার, নিয়মিত জল খাওয়ার (১ ঘন্টা অন্তর) এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করার।
  • নিয়মিত শরীরচর্চা, ব্যায়াম, প্রাণায়াম করলে শরীরে রক্তপ্রবাহ ঠিক থাকে এবং সুস্থ অনুভূত হয়। সুস্থ থাকলে পড়াশোনাতেও মন বসবে।

৬. নিজেকে পুরস্কার দাও :

  • প্রতিদিন বা প্রতি সপ্তাহে যে সমস্ত লক্ষ্য তুমি স্থির করছো, সেগুলি পূরণের পর নিজেকে কিছু পুরস্কার দাও।
  • হয়তো কোনো একটি অধ্যায় শেষ করার পর তুমি নিজেকে একটি দামি চকলেট বা অন্য কোনো প্রিয় খাবারের ট্রিট দিলে।
  • অথবা কোনো একটি অধ্যায়ের শেষ পাতায় একটি ১০০ টাকার নোট রাখলে। অধ্যায়টি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারলে তুমি নিজের মতো করে কোনো জায়গায় টাকাটি খরচ করলে।
  • অথবা একটি লক্ষ্য পূরণের পর কোনো সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ দেখলে।
  • এই ভাবে দেখবে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহও বাড়বে আবার বেশ মজাও আসবে।

৭. রাত জেগে পড়ার কোনো দরকার নেই :

  • ছাত্রদের মধ্যে একটি চল থাকে, “যে বেশি রাত জেগে পড়ে, সে পড়াশোনায় বেশি ভালো”।
  • এরকম কোনো ধারণাই সত্য নয়। তোমার কাছে পড়াশোনার জন্য সারাদিন পরে রয়েছে, এর জন্য রাতের ঘুম নষ্ট কোরোনা।
  • সুস্থ শরীরের জন্য ঘুম খুব প্রয়োজন।
  • অনেকের ধারণা রাত্রে খুব নিস্তব্ধ থাকায় পড়াশোনায় মনোযোগ বসে।
  • কিন্তু আমাদের সেই যুগ যুগ ধরে অভিব্যক্তি হয়ে আসছে, ঘুমোনোর জন্য রাতই উপযুক্ত; রাতে না ঘুমিয়ে দিনে ঘুমোনো স্বাস্থ্যের জন্য ঠিক নয়।
  • নিস্তব্ধতা চাইলে তুমি রাত্রি ১০ টার দিকে ঘুমিয়ে যাও এবং ভোর ৪ টেই ওঠার চেষ্টা করো এবং ভোরের বেলায় পড়ো। এই অভ্যাসটি রাত জেগে পড়ার থেকে অনেক ভালো।
  • ভোরের বেলা ঘুম থেকে ওঠা স্বাস্থ্যের জন্যও খুব ভালো এবং সদ্য ঘুম থেকে উঠলে মনোযোগও বেশি পাবে পড়াশোনায়। তাই এই নতুন উপায়টি একবার কাজে লাগিয়ে দেখো।
  • প্রথম প্রথম ভোরের বেলা উঠতে অসুবিধা হলেও সময়ের সাথে সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে এবং তুমি নিজের মধ্যে দেখবে এক নতুন মানুষকে।

এই উপায় গুলি কাজে লাগাতে তোমাদের হয়ত প্রথম প্রথম অসুবিধা হবে; তবে আসতে আসতে চেষ্টা করো, ঠিক একদিন সফল হবে। সফলতা একদিনে আসেনা, ইহা সময় সাপেক্ষ এবং এর মূল্য অনেক পরিশ্রম দিয়ে মেটাতে হয়।

To check our latest Posts - Click Here

Telegram

Related Articles

দেখে নাও
Close
Back to top button