ইতিহাস MCQ – সেট ৭৬ – প্রাচীন ভারতের ইতিহাস

মহাবীরের ছেলেবেলার নাম ছিল ‘বর্ধমান’ (‘যিনি বৃদ্ধি পান, বৃদ্ধিশীল’)। মহাবীরের জন্মের সময় তার রাজ্যের দ্রুত সমৃদ্ধি ঘটছিল বলে তার এই নামকরণ করা হয়। মহাবীর ছেলেবেলায় একাধিকবার বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন। তাই তাকে ‘মহাবীর’ নামে অভিহিত করা হত।

দেখে নাও মহাবীর সম্পর্কিত কিছু তথ্য – Click Here 

পুরানে সাতবাহন রাজাদের অন্ধ্র, অন্ধ্রজাতী এবং অন্ধ্রভৃত্য আখ্যা দেওয়া হয়েছে| এর থেকে অনেকে অনুমান করেন সাতবাহনরা অন্ধ্রপ্রদেশের অধিবাসী ছিলেন, আবার অনেকে ধারণা সাতবাহনরা অন্ধ্র জাতির ছিলেন |

আবার অনেকে মনে করেন, সাতবাহনদের অন্ধ্রপ্রদেশ বা অন্ধ্র জাতির কোনটির সঙ্গেই সংযোগ ছিল না|

পুরান সংকলনের সময় তারা অন্ধ্রপ্রদেশ রাজত্ব করতেন| এই মত পোষণকারীদের মতে, অন্ধ্রভৃত্য পথটি অন্ধ্রদের ভৃত্য অর্থের প্রযোজ্য| তাদের মতে, সাতবাহন রাজারা জাতিতে অন্ধ্র ছিলেন, তারা প্রথমদিকে কান্ব রাজবংশের প্রতি আনুগত্য ছিলেন|

পরিবার, গৃহপতি, গ্রামণী, বিশ, বিশপতি : আর্য সমাজের মূল ভিত্তি ছিল পারিবারিক জীবন। গৃহপতি ছিলেন পরিবারের প্রধান। গহপতির নির্দেশই ছিল সর্বপ্রধান। কয়েকটি পরিবার নিয়ে গ্রাম গঠিত হত। গ্রামের মােড়ল গ্রামীণ নামে পরিচিত ছিল। কয়েকটি গ্রাম নিয়ে গঠিত ছিল বিশ বা জন। বিশ বা জনের প্রধানকে বলা হত বিশপতি বা রাজা।

সভা ও সমিতি : বৈদিক যুগে রাজতন্ত্র ব্যতীত কোথাও কোথাও গণতন্ত্র প্রচলিত ছিল। তবে গণতন্ত্র অপেক্ষা রাজতন্ত্র অধিক প্রচলিত ছিল। সভা ও সমিতি নামে দুটি জনসাধারণের প্রতিষ্ঠান ছিল। সমাজের প্রধান ও জ্ঞান বৃদ্ধ ব্যক্তিদের নিয়ে সভা এবং সকল জনসাধারণের প্রতিনিধি নিয়ে সমিতি গঠিত হত।

আলমগীর পুর বর্তমানে  উত্তরপ্রদেশে অবস্থিত ।

গৌতম বুদ্ধ গৃহীদের জন্য পঞ্চশীল দিয়ে গেছেন। এগুলো হল-

• প্রাণীহত্যা না করা।
• অপরের জিনিস চুরি না করা।
• ব্যভিচার না করা।
• মিথ্যা কথা না বলা এবং
• সুরা বা মদ্যপান না করা।

দেখে নাও বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাস – Click Here 

প্রথম জৈন সম্মেলন পাটলিপুত্রে স্থূলভদ্রের (চন্দ্রগুপ্তের সময়) নেতৃত্বে  এবং দ্বিতীয় জৈন সম্মেলন বল্লভীতে অনুষ্ঠিত হয়।

দেখে নাও জৈন ধর্মের ইতিহাস – Click Here 

উত্তর-পশ্চিম ভারতের শক শাসনকর্তারা ক্ষত্রপ উপাধি ধারণ করেন ।

পতঞ্জলি ছিলেন হিন্দু যোগ দর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণিক শাস্ত্রগ্রন্থ যোগসূত্র-এর সংকলক। কিংবদন্তি অনুসারে, পতঞ্জলি মহাভাষ্য (পাণিনির অষ্টাধ্যায়ী-এর উপর রচিত কাত্যায়নের বৃত্তিকার টীকা) গ্রন্থেরও রচয়িতা। তিনি আয়ুর্বেদের উপরও একটি বই লিখেছিলেন।

হর্ষবর্ধন বা হর্ষ (৬০৫–৬৪৭) উত্তর ভারতের এক খ্যাতনামা সম্রাট যিনি ৬০৬ থেকে ৬৪৭ খ্রিষ্টাব্দ (মতান্তরে ৬৪৮ খ্রিষ্টাব্দ) পর্যন্ত শাসন করেন। তিনি পুষ্যভূতি বংশীয় রাজা প্রভাকর বর্ধনের সন্তান ছিলেন।

হর্ষবর্ধন শিলাদিত্য উপাধি গ্রহণ করেছিলেন ।

সৌরসেন ছিল মথুরাকেন্দ্রিক মহাজনপদ। অর্ধমগধী প্রাকৃত সৌরসেন ও মগধের মধ্যবর্তী অঞ্চলে প্রচলিত ছিল।

দেখে নাও বিভিন্ন মহাজনপদ সম্পর্কিত তথ্য – Click Here