General Knowledge Notes in BengaliPolity Notes

কেশবানন্দ ভারতী – The Monk who saved the Democracy

The Monk who saved the Democracy

Rate this post

কেশবানন্দ ভারতী – The Monk who saved the Democracy

প্রয়াত হলেন কেশবানন্দ ভারতী । ৭৯ বছর বয়সে কেরালার কাসারগড় জেলার এডনীরের আশ্রমে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি ।তিনি ছিলেন কর্ণাটকি ও হিন্দুস্তানী কণ্ঠশিল্পী এবং যক্ষগনা নাট্যরূপের একজন শিক্ষক।কেশবানন্দের কথা শুনলেই মনে চলে আসে কেশবানন্দ ভারতী মামলার কথা। কেরালা সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন এই কেশবানন্দ ভারতী এবং তার এই মামলার ভিত্তিতেও সংবিধানের “মূল কাঠামো” এর জন্ম।

আসুন জেনে নিয়ে কেশবানন্দ ভারতী বনাম কেরালা সরকারের এই ঐতিহাসিক মামলার কিছু তথ্য।

কেশবানন্দ ভারতী বনাম কেরালা সরকার মামলা – ১৯৭৩

  • ১৯৬৯ সালে কেরালা ভূমি সংস্কার আইনের আওতায় ভারতীয় মঠের সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা তৈরী হয়েছিল।
  • এই মঠই ছিল আশ্রমের একমাত্র আইয়ের উৎস।
  • এই কারণে কেশবানন্দ ভারতী এই ভূমি সংস্কার আইন এর বিরুদ্ধে ১৯৭০ সালের ২১শে মার্চ সুপ্রিমকোর্টে মামলা করেন।
  • কেশবানন্দ ভারতীয় বক্তব্য ছিল এই ভূমি সংস্কার আইন তাঁর তিনটি মৌলিক অধিকারকে খর্ব করেছে
    • তাঁর ধর্মপালনের অধিকার ( আর্টিকেল ২৫ )
    • সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা-সহ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের স্বাধীনতা ( আর্টিকেল ২৬ ) এবং
    • সম্পত্তির অধিকার ( আটিকেল ৩১ ) [ বি : দ্র : – সম্পত্তির অধিকার তখন মৌলিক অধিকার ছিল ]
  • কেশবানন্দ ভারতীর হয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়েন প্রখ্যাত আইনজীবী নানী পালখিভালা ।
  • এই মামলা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে সুপ্রিমকোর্ট ১৩ জনের একটি বেঞ্চ গঠন করেন।
  • প্রায় ৬৯ দিন ধরে এই মামলা চলার পরে ( ১৯৭২ সালের ৩১শে অক্টোবর থেকে ১৯৭৩ সালের ২৩শে মার্চ ) এই মামলার শুনানি দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিমকোর্টের এই মামলার শুনানি জেনে নেওয়ার আগে আমরা একটু প্রেক্ষাপট গুলো জেনে নিয় ।

  • সংবিধানের ১৩ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে যে সংসদ এমন কোনো আইন করতে পারবে না যা  নাগরিকদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করবে।
  • আবার ৩৬৮ নম্বর ধারায় বলা রয়েছে সংবিধান সংশোধনের অধিকার সংসদের ওপরে ন্যস্ত।
  • তো এই নিয়ে একটু জটিলতা ছিলই যে সংসদ ৩৬৮ নম্বর ধারার প্রয়োগ করে এই ১৩ নম্বর ধারাই যে বাধার কথা বলা রয়েছে সেটিকে সংশোধন করতে পারবে কিনা ।
  • গোলোকনাথ বনাম পাঞ্জাব সরকার মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দেন যে সংবিধানের তৃতীয় পার্ট অর্থাৎ কোনো মৌলিক অধিকার সংশোধন করার অধিকার নেই সংসদের ।
  • গোলোকনাথ বনাম পাঞ্জাব সরকার মামলায় সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য ১৯৭১ সালেরএকটি সংবিধান সংশোধনী আনা হয়েছিল ( ২৪ তম সংবিধান সংশোধনী )  যার ফলে মৌলিক অধিকারগুলিকেও সংশোধন করার ক্ষমতা পায় সংসদ।

কেশবানন্দ ভারতী মামলার শুনানি হিসেবে ডিভিশন বেঞ্চের ১৩ জনের মধ্যে ৭ জন সংসদের এই মৌলিক অধিকার সংশোধন করার ক্ষমতার পক্ষে রায় দেন। কিন্তু এর সঙ্গে এটাও জানানো হয় যে – কোনো সংশোধনী সংবিধানের “মূল কাঠামো” –কে পরিবর্তন করতে পারবে না। তবে এই রায়ের মধ্যেও একটি ফাঁক থেকে যায়। ‘মূল কাঠামো’-র মধ্যে কোন কোন বিষয় পড়বে, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তালিকা দেয়নি শীর্ষ আদালত।

আরো দেখে নাও :

ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা । Preamble to the Constitution of India

গুরুত্বপূর্ণ কমিটি/ কমিশন । Important Committees and Commissions in India

ভারতীয় সংবিধানের বিভিন্ন পার্ট । Parts Articles of the Indian Constitutions –  PDF Download

ভারতীয় সংবিধানের বিভিন্ন উৎস

To check our latest Posts - Click Here

Telegram
Back to top button
error: Alert: Content is protected !!

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker