Geography NotesGeneral Knowledge Notes in Bengali

পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গঠন ও স্তরভাগ – PDF

Layers of the Earth

পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গঠন ও স্তরভাগ

আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় – পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গঠন ও স্তরভাগ । ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূকেন্দ্র পর্যন্ত ৩টি স্তর রয়েছে।

  • ভূত্বক  (Crust )
  • গুরুমণ্ডল  (Mantle )
  • কেন্দ্রমণ্ডল (Core )
পৃথিবীর অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্তর
পৃথিবীর অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্তর

ভূত্বক (Crust )

পৃথিবীর সবচেয়ে ওপরের শিলাগঠিত স্তরটিকে ভূত্বক (Crust ) বলা হয় । ভূত্বক কঠিন শিলা ও বিভিন্ন পাত বা প্লেট দিয়ে তৈরী। এই পাতগুলি উর্দ্ধ-গুরুমণ্ডলের নমনীয় শিলার ওপরে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে।

উপাদানের ভিত্তিতে ভুত্বককে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

[১] সিয়াল (SIAL )

ভূত্বকের সবচেয়ে ওপরের সিলিকন (Si ) ও অ্যালুমিনিয়াম (Al)  সমৃদ্ধ শিলা স্তরকে সিয়াল বলা হয়। সিয়াল মহাদেশ বা স্থলভাগ সৃষ্টি করে।

Silicon + Aluminium = Si + Al = SiAl 

সিয়াল গঠিত ভূত্বক-কে মহাদেশীয় ভূত্বক (Continental Crust ) বলা  হয়ে থাকে। মহাদেশের নিচে সিয়ালের বৃস্তৃতি প্রায় ৩০-৪০ কিলোমিটার। গ্রানাইট জাতীয় আগ্নেয় শিলা, নিস ও সিস্ট জাতীয় জাতীয় রূপান্তরিত শিলা ও বিভিন্ন পাললিক শিলা যেমন – বেলেপাথর, শেল ইত্যাদি মহাদেশীয় ভূত্বক সিয়ালের প্রধান উপাদান।

[২] সিমা (SiMa )

ভূত্বকের সর্বনিম্ন অংশের সিলিকন ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ শিলা স্তরকে সিমা (SIMA ) বলা হয়। সমুদ্রের নিচে ৫ কিলোমিটার থেকে ৭ কিলোমিটার পর্যন্ত সিমা-র বৃস্তৃতি।

Silicon + Magnesium = SIMA 

সিমা গঠিত ভূত্বককে মহাসাগরীয় ভূত্বক (Oceanic Crust ) ও বলা হয়। মহাসাগরীয় ভূত্বক সমুদ্রের তলদেশে তৈরী হয়েছে। ব্যাসল্ট জাতীয় ক্ষারীয় আগ্নেয়শিলা মহাসাগরীয় ভূত্বক বা সিমার প্রধান উপাদান।

মহাদেশীয় ভূত্বক ও মহাসাগরীয় ভূত্বকের মধ্যে কনরাড বিযুক্তি অবস্থিত। 

মোহো বিযুক্তি (Mohorovicic Discontinuity )

ভূত্বক ও গুরুমণ্ডলের মধ্যবর্তী সীমানাকে মোহো বিযুক্তি (Mohorovicic Discontinuity ) বলা হয়। মহাদেশীয় ভূত্বকের নিচে ৩৫ কিমি এবং মহাসাগরীয় ভূত্বকের নিচে ৭ কিমি গভীরতায় মোহো বিযুক্তি অবস্থিত।

গুরুমণ্ডল (Mantle ) 

ভূত্বকের নিচে অর্থাৎ ৩৫ কিমি গভীরতা থেকে প্রায় ২৯০০ কিমি গভীর পর্যন্ত গুরুমণ্ডল বা ম্যান্টল (Mantle ) বা ব্যারিস্ফীয়ার (Barysphere ) অবস্থিত।

লোহা, কার্বন, সিলিকন, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি পদার্থগুলি এখানে ভূ-অভ্যন্তরের প্রচন্ড চাপ ও তাপের ফলে তরল অবস্থায় রয়েছে।

পৃথিবীর মোট আয়তনের ৮৩% ও ভরের ৬৭% গুরুমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত।

গুরুমণ্ডলের দুটি স্তর রয়েছে –

[১] বহিঃগুরুমণ্ডল

গুরুমণ্ডলের ওপরের প্রথম ৬৬০ কিমি অঞ্চলকে বহিঃগুরুমণ্ডল বা উর্দ্ধ-গুরুমণ্ডল বা আপার ম্যান্টল (Upper Mantle ) বলা হয়।

[২] অন্তঃগুরুমণ্ডল

বহিঃগুরুমণ্ডল এর নিচে অর্থাৎ ৬৬০ কিমি থেকে ২৯০০ কিমি পর্যন্ত অন্তঃগুরুমণ্ডল বা নিম্ন-গুরুমণ্ডল বা লোয়ার ম্যান্টল (Lower Mantle ) অবস্থিত।

উর্দ্ধ-গুরুমণ্ডল ও নিম্ন-গুরুমণ্ডলের মধ্যবর্তী সীমানা হল ৬৬০ কিমি বিযুক্তি (660 km discontinuity ) ।

গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডলের মধ্যে গুটেনবার্গ বিযুক্তি (Gutenberg Discontinuity ) অবস্থিত ।

কেন্দ্রমণ্ডল 

পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে গুটেনবার্গ বিযুক্তি পর্যন্ত অঞ্চলটি কেন্দ্রমণ্ডল নামে পরিচিতবা সেন্ট্রোস্ফিয়ার নামে পরিচিত।

রাসায়নিক পরিভাষায় কেন্দ্রমণ্ডলকে নাইফ (NIFE ) বলা হয়ে থাকে কারণ এই অঞ্চলের প্রধান উপাদান নিকেল (Ni ) এবং লোহা (Fe )।

নিকেল (Ni ) + লোহা (Fe ) = NIFE 

কেন্দ্রমণ্ডলে কিছু পরিমানে পারদও পাওয়া যায়।

কেন্দ্রমণ্ডলের আবার দুটি স্তর রয়েছে – বহিস্থ কেন্দ্রমণ্ডল এবং অন্তস্থ কেন্দ্রমণ্ডল ।

বহিস্থ কেন্দ্রমণ্ডল ও অন্তস্থ কেন্দ্রমণ্ডলের মাঝে বুলেন বিযুক্তি (Bullen Discontinuity ) বা লেহম্যান বিযুক্তি (Lehmann Discontinuity ) রয়েছে। 

আরও দেখে নাও : 

Download Section 

  • File Name : পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গঠন ও স্তরভাগ – বাংলা কুইজ
  • File Size : 1.7 MB
  • No. of Pages : 03
  • Format : PDF

To check our latest Posts - Click Here

Telegram

Related Articles

Back to top button